মায়ের সাথে গ্রামে যাচ্ছে মেয়ে দেখতে যা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ দূরে তার মায়ের কোন এক বান্ধবীর মেয়ে। ফাহিমের বয়স যখন ১০ বছর তখন তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসে আজ ১৫ বছর পর তারা গ্রামে যাচ্ছে শুধুমাত্র বান্ধবী কে একটা কথা দেওয়ার জন্য।
কানে হেডফোন দিয়ে সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে হঠাৎ গাড়ি টা ব্রেক করায় সামনের দিকে পড়ে যেতে নিলে সিটে ধরে নেয় তারপর ধমকের সুরে বলে
- কি হয়েছে ড্রাইভার গাড়ি থামালে কেন?
- গাড়ি আর সামনে যাবে না স্যার,কাচা রাস্তা তার উপর রাস্তা টা অনেক খারাপ।
ফাহিম কান থেকে হেডফোন খুলে গলায় ঝুলিয়ে মায়ের দিকে তাকাতেই তিনি গাড়ি থেকে নামতে ইশারা করলেন। দরজা খুলে গাড়ি থেকে নেমে একটা জোরে নিশ্বাস নিল তারপর মায়ের পিছন পিছন হাটতে লাগলো।
সোফায় বসে আছে ফাহিম এবং তার মা সামনে নাস্তা রাখা সে ভেবেছিল গ্রামের ঘর গুলো মাটির হবে কিন্তু তার ধারণা ভুল ঘর গুলো টিনের হলেও অনেক সুন্দর মেঝে পাকা আর বিভিন্ন ডিজাইন করা গ্রাম যে এতটা আপডেড হয়ে গেছে তা সে জানতো না। মায়ের কানে কানে ফিসফিস করে বললো
- আমি একটু বাড়ি টা ঘুরে দেখি মম।
- তুই এখানকার কিছু চিনিস যদি হারিয়ে যাস।
- আমি ছোট বাচ্চা না মম যে হারিয়ে যাব আমি গেলাম।
- একদম না চুপচাপ এখানে বসে থাক এখনি মেয়ে কে নিয়ে আসা হবে।
ফাহিম বাধ্য ছেলের মতো প্লেট থেকে একটা বিস্কুট নিয়ে বসে রইলো কিছুক্ষণ পর মেয়ে কে নিয়ে আসা হলো ফাহিম মেয়ে কে দেখে একটা বড় ধরনের শক খেলো তার হাত থেকে বিস্কুট টা পড়ে গেল। সে আবার মায়ের কানে কানে ফিসফিস করে বললো
- তোমার সাথে একটু কথা আছে মম ওইদিকে চলো।
- কি কথা এখানে বলো কিন্তু ফাহিম কিছু না বলে মাকে টানতে টানতে একটা রুমে নিয়ে গেল।
- Are you crazy mom, আমি একটা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে হয়ে একটা নাবালিকা মেয়ে কে বিয়ে করবো এই মেয়ে তো এখনো বিয়ে মানেই বুঝে না স্বামী সংসার মানে কি বুঝবে?
- তোমার কোন দিক দিয়ে একটা ১৬ বছরের মেয়ে কে অবুঝ বলে মনে হয় গ্রামের মেয়েরা শহরের মেয়ের মতো ঢং করতে না পারলেও তারা খুব ভালো করে জানে কিভাবে স্বামীর মন জয় করতে হয় এবং সংসার সামলাতে হয়।
- কিন্তু মম মেয়ে টা আমার থেকে ৯ বছরের ছোট।
- স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ৮/৯ বছরের পার্থক্য থাকা উচিত তোমার বাবার সাথে যখন আমার বিয়ে হয়ে ছিল তখন তার বয়স ছিল ২০ আর আমার ১৩।
- কিন্ত আমি একটা নাবালিকা মেয়ে কে কিভাবে বিয়ে করবো মম?
- আমি আমার বান্ধবী কে কথা দিয়েছি তার মেয়ে কে আমার পুত্রবধূ বানাবো এখন তুমি যদি চাও আমি আমার বান্ধবীর কাছে ছোট হয়ে যায় তাহলে চলে যেতে পারো।
- তুমি কিছু পারো আর না পারো ইমোশনাল ব্যাকমেইল করতে খুব ভালোই পারো।
- তুই কি তাহলে বিয়ে টা করবি?
- অবশ্যই মম তোমার সম্মান বাচাতে বিয়ে তো করতেই হবে ১ সেকেন্ড এখানে বিয়ের কথা কিভাবে আসলো?
- আমি সিদ্ধান্ত নিছি আজকেই তোদের আকদ সম্পন্ন হবে।
- অসম্ভব আমার বন্ধু বান্ধবী আছে তাছাড়া পাপা কে কিছু না জানিয়ে।
- আমি আসার সময় তোর বাবা কে জানিয়ে এসেছি হয়তো এতক্ষণে চলে এসেছে।
- তাহলে সব আগে থেকেই প্ল্যান করা ছিল।
- হুম এখন চল সবাই অপেক্ষা করছে তারপর দুজনে রুম থেকে বের হলো।
-------------------
রাত ১০ টা,
একটা আলিশান বিল্ডিং এর সামনে দুটো মাইক্রো এসে থামলো একটা গাড়ি থেকে ফাহিম নেমে ভিতরে চলে গেল। ঝর্ণা চৌধুরী এসে নিজের পুত্রবধূ কে গাড়ি থেকে নামিয়ে ভিতরে নিয়ে গেল তারপর ফাহিমের রুমে নিয়ে গেল বিছানায় বসিয়ে দিয়ে বললো
- তুমি এখানে বসো আমি নাস্তা নিয়ে আসছি।
- আচ্ছা আন্টি।
- আন্টি না মা বলে ডাকবে।
- ঠিক আছে মা ঝর্ণা চৌধুরী মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।
হাতের সিগারেট টা ফেলে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে বিছানার কাছে গিয়ে বললো
- এই মেয়ে তোর নাম কি?
- আপনি আমাকে তুই করে বলছেন কেন?
- আমি তুই করেই বলবো তোর কোন সমস্যা?
- না।
- বল তাহলে তোর নাম কি?
- আয়াত রহমান ফাহিম আর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেল এতক্ষণ অনেক কষ্টে বমি আটকিয়ে রাখলেও এখন আর পারলো না গলগল করে বমি করে দিল বিছানা থেকে নামার সুযোগ টাও পেল না। ফাহিম ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তার নববিবাহিত স্ত্রী বমি করছে টাওয়াল টা ছুড়ে মেরে বললো
- তোর কি শরীর খারাপ বমি করছিস কেন?
- আসলে আমার সিগারেটের গন্ধ সহ্য হয় না বমি আসে।
- তাড়াতাড়ি বমি পরিষ্কার কর আর চাদর তুলে ফ্রেশ হয়ে এসে লাইট অফ করে শুয়ে পড়।
- কিন্তু এখানে আমার কোন কাপড় নেই।
- তাহলে কাপড় ছাড়াই শুয়ে পড়।
- আমি কাপড় ছাড়া শুয়ে পড়ি আর আপনি আমাকে সারারাত দেখেন।
- shat up আমার ক্যারেক্টার এত টাও খারাপ না যে একটা মেয়ে কে......।
- পুরুষ মানুষের ক্যারেক্টার কেমন সেটা আমি খুব ভালো করে জানি।
- জানিস মানে কি আমার আগে কি কেউ এই দেহে স্পর্শ করেছে যদি এমন টা হয় তাহলে খোদার কসম এই দেহ আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিব mind it কথা টা বলে সে সোফায় ঘুমাতে চলে গেল।
আয়াত don’t care ভাব নিয়ে চাদর তুলে নতুন চাদর বিছিয়ে বিরবির করে বলতে লাগলো আমার আগে কি কেউ এই দেহে স্পর্শ করেছে যদি এমন টা হয় তাহলে খোদার কসম এই দেহ আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিব mind it হুহ্ দেহে স্পর্শ করা তো দূর আজ অব্দি আমার বাপ ভাই আমাকে ঠিক করে দেখতে পায় নি, আপনি ছাড়া অন্য কেউ আসুক স্পর্শ করতে তার এমন অবস্থা করবো জীবনেও বাবা ডাক শুনতে পাবে না হুহ বলে সেও ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।
❤️সোর্স: YST STORY❤️
✅ Shafiqul Islam ✅
আয়াত don’t care ভাব নিয়ে চাদর তুলে নতুন চাদর বিছিয়ে বিরবির করে বলতে লাগলো আমার আগে কি কেউ এই দেহে স্পর্শ করেছে যদি এমন টা হয় তাহলে খোদার কসম এই দেহ আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিব mind it হুহ্ দেহে স্পর্শ করা তো দূর আজ অব্দি আমার বাপ ভাই আমাকে ঠিক করে দেখতে পায় নি, আপনি ছাড়া অন্য কেউ আসুক স্পর্শ করতে তার এমন অবস্থা করবো জীবনেও বাবা ডাক শুনতে পাবে না হুহ বলে সেও ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।
❤️সোর্স: YST STORY❤️
✅ Shafiqul Islam ✅
Post a Comment