বিপ্লব, জুলাই, শহিদ এইসব কিছু না
সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা আজ গভীর রাতে একটা বিশাল পোস্ট করেছে। সেই পোস্টের মূল বক্তব্য আমি তুলে ধরছি। নিজের মতামত দেব এই লেখার শেষ অংশে।
উমামা যা বলতে চেয়েছে, সেটা হচ্ছে- বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মটা একটা বিশেষ গোষ্ঠী জোর করে দখল করে নিয়েছে। ঠিক যেভাবে একটা দলও গঠিত হয়েছে। এরা ভাই-ব্রাদার মিলে শুধু যে কোরামবাজী-লুটপাট করে বেড়াচ্ছে; বিষয়টা শুধু এমনই না!
এরা নিজেদের প্লাটফর্মের লোকজনদের মাইনাস করার জন্য হেয়ার রোড থেকে (পড়ুন উপদেষ্টা পাড়া থেকে) আদিষ্ট হয়ে একে-ওকে হুমকিও দিয়ে বেড়াচ্ছে। সব শেষে উমামা কী লিখেছে জানেন?
-"আমি পরামর্শ দিব আপনারা সবাই যাতে পড়ার টেবিলে মনোযোগ দেন, কাজে মনোযোগ দেন।"
সে আরো বলেছে- বিপ্লব, জুলাই, শহিদ এইসব কিছু না; এইসব শব্দ ব্যাবহার করে এরা আসলে নিজেদের ফায়দা লুটছে। আর কিছুই না।
এইবার আসি আমার মন্তব্যে। শুধু তরুণ শিক্ষার্থীদের না; তরুণ যারা আছেন, যারা হয়ত চাকরি-বাকরি করেন কিংবা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সেই অর্থে জীবন যাত্রার মানের কোন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন না। আপনাদের হলফ করে বলি- এই দেশের পরিবর্তন কোন দিন হবে না।
রাজনৈতিক সংস্কৃতির কোন পরিবর্তন হয়নি। সব কিছু চলছে সেই আগের নিয়মে। চলছে ক্ষমতার চর্চা। টাকা দিয়ে পদ-পদবী দেয়া হচ্ছে বড় দলগুলোতে। খবর পাচ্ছি- নমিনেশন দেয়া হবে এমন লোকজনদের; যারা হয়ত একদিনের জন্যও রাজনীতি করে নাই! এইসব নিয়ে পরে লিখবো। তাই আমার পরামর্শ হবে- শুধু পড়ার টেবিলে বসলেই চলবে না কিংবা কাজে মনোযোগ দিলেই আপনার জীবন বদলে যাবে না।
বরং ইংরেজি শিখুন। আইইএলটিএস দিন। যেভাবেই সম্ভব হয় এই দেশ ছাড়ুন। বিশ্বাস করুন- পৃথিবীর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশগুলোও একটা নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু এই দেশে কোন নিয়ম নেই। আজকাল তো ইন্টারনেট থাকলে নিজেই চেষ্টা করে বিদেশে চলে যাওয়া যায়। যদি নিজে না পারেন, যদি আইইএলটিএস দিতে না পারেন; তাহলে কন্সাল্টটেন্সি ফার্মগুলোর সাহায্য নিয়ে হলেও দেশ ছাড়ুন।
যারা এই দেশে থাকছেন, তাঁদের হয়ত আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। কিন্তু আপনার যদি সুযোগ থাকে, প্রথম সুযোগেই দেশ ছাড়ুন। উমামার কথাও শুনবেন না- কারন শুধু পড়াশুনা করে আপনি চাকরি পাবেন; এটা ভুল। এটা এই দেশে আর হবে না। আবার চাকরি পেলেও যে আপনার সংসার চলবে; এমনও না। দেখবেন আপনার জীবন কাটছে সংসারের হিসাব করতে করতে! শুধু ওই ঘুষখোর-লুটপাটকারীদের জন্যই বাংলাদেশ!
তাই দেশ ছাড়ুন। বাংলাদেশ নামক পৃথিবী গ্রহের এই নরক থেকে অন্তত বেঁচে যাবেন।
সোর্স: এফবি
Post a Comment