তুষার ইজ এ টার্গেট হেয়ার

যা ভেবেছিলাম তাই.... 
সারওয়ার তুষারের গতকালের আত্মপক্ষ সমর্থন করে লেখা স্ট্যাটাসটা পড়লাম। এর মধ্যে দুইটা বিষয় আমার নজর কাড়লো। 

১. তুষার একবারও বলছে না যে 'আমারে লাগাইতে দিবা' এই কথাটা সে বলেনি। এই কথাটা সে বলেছে এবং এটুকুই তার অপরাধ। তার আরও সংযত হতে হবে সেই উপলব্ধিও তার হয়েছে। 

২. তার এই ঘটনার পেছনেও তার প্রাক্তন প্রেমিকার হাত আছে। যা উক্ত নারী সদস্য স্বীকার করেছেন। 

তুষারকে চিনি বলেই আমার মোটামুটি একটা আইডিয়া আছে যে, তুষার কি পরিমাণ অপরাধ করতে পারে এবং কি অপরাধ না করলেও বাশটা তাকেই খেতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার, স্যোসাল মিডিয়ার ট্রায়েলের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানি বলে এটাও বুঝতে পারছি যে তুষার এখানে ঠিক কতটুকু ভুক্তভোগী। 

নারীকে অশোভন প্রস্তাব দেওয়ার অপরাধ তুষার করেছে, মেনে নিচ্ছি। কিন্তু তার পরেও তুষার তথা এনসিপি যে এখানে টার্গেটের শিকার হয়েছে সেটা ক্লিয়ারলি বোঝা যাচ্ছে। আমি কোন মতেই তুষার বা এনসিপির এম্পেথাইজার না। বরং আপনারা জানবেন যে আমি এনসিপির কট্টর সমালোচক। এনসিপির প্রতি বা তুষারের প্রতি আমার বিশেষ কোন দরদ নেই। কিন্তু উক্ত ঘটনা পর্যালোচনা করে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এখানে তুষারকে টার্গেট করা হয়েছে এনসিপিকে সায়েস্তা করার জন্য। এদেশের রাজনৈতিক কূটকচাল, রাজনৈতিক টার্গেট সেট করে কোন দলের বিরুদ্ধে মতামত উৎপাদন করার ম্যাশিন হিসেবে এইসব খুচরা পাপকে ব্যবহার করার ইতিহাস এদেশে পুরোনো। মেয়েরা এখানে হানি ট্রাপ হিসে ইউজ হবার ঘটনা অহরহ। 

তুষারের প্রাক্তন প্রেমিকা তুষার সম্পর্কে ক্লিয়ার আইডিয়া রাখেন। ফলে তিনি জানেন যে তুষার স্লিপ করলে ঠিক কোন পয়েন্টে কিভাবে স্লিপ করতে পারে। তুষার কোন পয়েন্টে স্লিপ করবে এবং কিভাবে করবে এসকল কিছু এনালাইসিস করেই একটা প্লট সাজানো হয়েছে। উক্ত নারী সদস্যকে সেই প্লট অনুযায়ী সেট করা হয়েছে এবং তুষারের কনসেন্ট ছাড়া অডিও রেকর্ড করে সেগুলো বিদেশে বসবাসরত এক্টিভিস্টদের মাধম্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো খুবই প্রি প্ল্যান্ড একটা রাজনৈতিক গেমের অংশ।

আমি হলপ করে বলতে পারি, আপনারা খুজে দেখতে পারেন, এর ঘটনার পেছনে বিরাট অংকের টাকাপয়সা লেনদেন হয়েছে। তুষারের প্রাক্তনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই টাকা নিয়ে সালিশে সাক্ষি দেওয়া, টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেওয়া নিয়ে ক্যাচাল করা এগুলোর অভিযোগ আছে। খোজ নিলে জানতে পারবেন। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত অন্য কখনো লিখবো। 
অভাবি ঘরের ছেলে-মেয়েরা টাকার জন্য নানা ভাবে নানা ক্রাইমের সাথে জড়িয়ে পরার ঘটনা ঢাকায় নতুন না। টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক টার্গেট সেটিং এবং রাজনৈতিক কেরিয়ার খেয়ে দেওয়া খুব কমন ঘটনা। প্রতিটি দলের অভ্যন্তরেই এসব অহরহ হয়। 

আই রিপিট এগেইন, তুষার অপরাধী, কিন্তু তার অপরাধকে অপরাধ হিসেবে স্ট্যাবিলিস্ট করার জন্য পেছনে যা যা ঘটনা ঘটেছে সেগুলোও কম বড় অপরাধ না। এনসিপির যতোগুলো সক্ষমতা আছে তার মধ্যে তুষার & তাসনুভার শক্তিশালী মিডিয়া প্রেজেন্স তার মধ্যে একটা। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারলে এর চেয়ে বড় অস্ত্র আর কি হতে পারে? 

ঘটনা লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, গতকালের আগে পর্যন্ত পুরো জাতি জানতো যে এটা তুষার ভার্সেস তাসনুভা ইস্যু। ফলে দুজনকেই স্যোশাল মিডিয়া ব্যাশিং এর শিকার হতে হলো। এগুলো অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছে। 

ভিক্টিমকে যতোটা ইনোসেন্ট হিসেবে আমরা দেখছি তিনি ততোটা ইনোসেন্ট না। প্রপার ইনভেস্টিগেশন হলে ঠিকই বের হয়ে আসবে কে উক্ত নারী সদস্যকে হায়ার করেছে (যদিও তিনি সদস্য নন এখন শুনছি), কে তাকে সেট করেছে, কে পরিকল্পনা করেছে। এটা স্রেফ যৌনতা ইস্যু নয়। এর পেছনে বিরাট শক্তির বিরাট রাজনৈতিক ইনভলবমেন্ট আছে। 

নারী পুরুষের মধ্যে যা কথপোকথন হয় তার দুইটা এসেন্স থাকে। কথপোকথন গোপন থাকলে তার এসেন্স এক রকম হয়, সেই একই কথপোকথন প্রকাশিত হয়ে গেলে তার এসেন্স অন্য রকম হয়ে যায়। নারী পুরুষের স্পেশাল মোমেন্টের আলাপকে যদি আপনি সোস্যাল মিডিয়ায় টেনে আনেন তাহলে অবশ্যই তা শুনতে আগ্লি লাগবে এবং অধিকাংশ সময় পুরুষকেই বেশি অপরাধী মনে হবে। এখানেও তাই ঘটেছে। 

এদেশে রাজনৈতিক ময়দানে অর্থের দূর্নীতি মানুষ ভুলে যায়, কিন্তু চরিত্র একচুল স্লিপ করলে মানুষ তাকে আর নেয় না। তুষার তথা এনসিপিকে থামানোর জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হয় যখন এনসিপির উচ্চ পর্যায়ে তুষারের মতো এমন একজন নারী পিপাসু নেতা আছেন? অতএব টার্গেট লকড! 

তুষার ইজ এ টার্গেট হেয়ার! & দ্যাট ভিক্টিম ইজ নট ইনোসেন্ট!

এন্ড ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট: যারা তুষারের প্রাক্তনের সাথে চলাফেরা করেন তারা সতর্ক হয়ে যান। এই মেয়ে যাগায় দাড়ায় খাড়ার উপ্রে আপনারে বেইচা দিয়া টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যাবে আপনি বুঝে ওঠার আগেই। 

টাকার গন্ধ পাইলে নারীবাদী কাঠের পুতুলও হা করে এই শহরে।

সোর্স: এফবি

Post a Comment

Featured Post

পাখিটা বন্দী আছে সোনার খাঁচায়!

পাখিটা বন্দী আছে সোনার খাঁচায়! দূর বিদেশে বাণিজ্যে গিয়ে এক বণিক সেখানকার এক বনে বিশেষ একটি পাখির গান শুনে মুগ্ধ হলেন এবং পাখিট...

জনপ্রিয়

[blogger]

MKRdezign

Mohammod Sahidul Islam

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget