সময় কলকাতা ডেস্ক:- গত বছর আগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। এই অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে দেশ চালাতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্বই ছিল, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনুস সরকার ক্রমাগত নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি ইউনুস সরকারকে দাগিয়ে বলেছিলেন যে এই নির্বাচন পিছনোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার সেনা প্রধানও ইউনুসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন। বুধবার ঢাকার সেনা প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন হয়েছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করার জন্যে।
অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সেনার কাজে নাক না গলায়, তাও কড়া গলায় বার্তা দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। একইসঙ্গে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সঙ্গে মানবিক করিডর তৈরির প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেছেন ইউনুসকে। বাংলাদেশের মাটিতে বিতর্কিত হিউম্যান করিডরে আপত্তি জানিয়ে ওই করিডরকে ‘রক্তাক্ত করিডর’ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
সাফ বলেছেন, রাখাইনে মানবিক করিডর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একমাত্র নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে বাংলাদেশকে করিডর হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
যদিও সেই প্রস্তাব আসলে আমেরিকার বলে কূটনৈতিক মহলের খবর। সেনাবাহিনী প্রথম থেকেই ওই প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। বুধবার সেনাপ্রধান তাঁর বাহিনীকে জানিয়ে দিলেন, ওই প্রস্তাব তারা মানবে না।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মহম্মদ ইউনুস চান না সেনা প্রধান পদে থাকুক জেনারেল ওয়াকার। তাই বহির্শক্তির ব্যবহার করে তাঁকে পদ থেকে সরাতে চাইছেন, ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেনা প্রধান।
সূত্রের খবর, সেই কারণেই সরাসরি সমর বা সংঘাতে না গিয়ে বায়ুসেনা ও নৌসেনাকে পাশে নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। সেনাকে অন্ধকারে রেখে যেভাবে ইউনুস সরকার নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা আর বরদাস্ত করবে না সেনা। সেনাপ্রধান সাফ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী আর জনগণের হিংসা বা আইনহীনতা সহ্য করবে না। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
Post a Comment